Wednesday, December 30, 2015
Wednesday, December 23, 2015
Thursday, December 10, 2015
‘আর্টিজান’, ‘আর্টিস্ট’-ও!
![]() |
কাকা তোনি ও গৌরব নাটেকারের মাঝে রাফায়েল নাদাল, বৃহস্পতিবার দিল্লিতে |
কাশীনাথ ভট্টাচার্য
কতটা পথ পেরলে তবে ‘নাদাল’
হওয়া যায়!
ম্যালকম গ্ল্যাডওয়েল
কানাডার সাংবাদিক, লেখক। সাফল্য সম্পর্কিত কয়েকটি বই লিখেছেন। গবেষণা ও বিশ্লেষণে
প্রতিষ্ঠা করেছেন তাঁর ‘দশ হাজার ঘণ্টা’ অনুশীলনে সাফল্যের রাস্তা খুঁজে পাওয়ার
সহজ পথ। সাধারণের সঙ্গে অসাধারণের পার্থক্য, তাঁর মতে, একজন ন্যূনতম দশ হাজার
ঘণ্টা অনুশীলন করেছেন, অনুশীলন করতে করতে প্রেমে পড়ে গিয়েছেন তাঁর পেশার সঙ্গে,
দক্ষতা অর্জিত হয়েছে এমন স্তরে, কম অনুশীলনের মাধ্যমে যাঁরা সেই সাফল্য অর্জন করতে
চেয়েছেন, পিছিয়ে পড়েছেন সহজেই। গ্ল্যাডওয়েলের গবেষণায় ‘সহজাত প্রতিভা’ অর্থহীন।
পরিশ্রমের ঘামেই তাকে কাঙ্ক্ষিত সাফল্যে রূপ দেওয়া সম্ভব। সপ্তাহে অন্তত ৪০ ঘন্টা
করে অন্তত পাঁচ বছর একমুখী সাধনায় মেতে থাকলে পাওয়া সম্ভব সেই ‘দশ হাজার ঘণ্টা’-র
জাদুকাঠি। যাঁরা দিয়েছেন, সাফল্য তাঁদের পায়ের কাছে এসে মুখ ঘষেছে আদরে-সোহাগে,
সহজ বিশ্লেষণ!
খেলার জগতে বর্ণাশ্রম
আছে। আমরা-ওরা বিভাজন পরিষ্কার। একদল শিল্পী, অন্য দল শ্রমিক। আমাদের সাধের বাংলায়
যেমন, বিশ্বের বহু দেশই শিল্পীদের দেখে সম্মানের চোখে। কারিগর হলে মেলে তুচ্ছতাচ্ছিল্য।
এবং, এমন একটা ভাবনা সুপ্রচলিত যে, শিল্পীর কাছে সবই সহজ। যে কোনও পেশার শীর্ষে
উঠতে তাঁকে অনেক কম পরিশ্রম করতে হয় শ্রমিক শ্রেণীর তুলনায়। ডাহা মিথ্যে। এই
বিশ্বে কোনও কিছুই সস্তায় মেলে না। উপযুক্ত মূল্য চুকিয়ে তবেই পাওয়া যায়
স্বপ্নলোকের চাবিকাঠি।
যে কোনও শিল্পের মতোই খেলাও
পুনরাবৃত্তি দোষে দুষ্ট। ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দিনের পর দিন, মাসের পর মাস, বছরের পর
বছর, একই কাজ করে যেতে হয়। চালিয়ে যেতে হয় নিরবচ্ছিন্ন অনুশীলন। যে-কাজ করছি তাতে
দক্ষতার শীর্ষবিন্দুতে পৌঁছতে। গায়ক যেমন জীবনভর গলা সেধে যান, ‘সা’ লাগানোর
সাধনায় একটা দিনের ফাঁকি তাঁর জীবনে তাঁর স্বপ্নাতীত। নিক বলটিয়েরি-র আকাদেমি একের
পর এক চ্যাম্পিয়ন উপহার দিয়েছে টেনিসকে। তাঁর সাফল্যের দেশে পৌঁছনোর রাস্তাও সহজই
ছিল। ‘দিনে দেড়-দু’হাজার বল পাঠাও নেটের ওধারে, সপ্তাহে দশ হাজার, মাসে ৪০ হাজার
বল। ফল দেখো প্রতিযোগিতা শেষে!’ সেই ঘুরেফিরে গ্ল্যাডওয়েলের দশ হাজার ঘণ্টার গল্প।
বাজার থেকে মা কিছু আনতে বললে ছোট্ট দিয়েগো মারাদোনা পায়ে একটা কাপড়ের বল নিয়ে বুয়েনস
আইরেসের বস্তি ভিয়া ফিওরিতোর জনবহুল রাস্তার লোককে কাটাতে কাটাতে যেত, ফিরত।
বস্তির ভিড়ভাট্টায় ড্রিবলের সেই অনুশীলন পরবর্তীকালে বিশ্বসুদ্ধ মানুষকে দিয়েছিল
বিশুদ্ধ আনন্দের পবিত্র স্বাদ। কীভাবে করছেন, কোথায় করছেন নয়, গুরুত্বপূর্ণ
স্কিল-কে নিখুঁত স্তরে উত্তরণ ঘটাতে কতটা সময় ব্যয় করছেন, অনলস পরিশ্রমে।
দিল্লি এসে মহেশ ভূপতির টেনিস
আকাদেমির সঙ্গে জুড়ে দিলেন নিজের স্পেনের আকাদেমিকেও, যাতে ভারতের শিক্ষার্থীরা
যেতে পারেন মায়োরকায়, নাদালের জন্মস্থানে, তাঁর আকাদেমিতেও অনুশীলন করতে। সে কারণে
সকালে দিল্লির লন টেনিস আকাদেমিতে বাচ্চাদের সঙ্গে ক্লিনিক। সবাইকে সুযোগ দিলেন
তাঁর বিরুদ্ধে একটি করে পয়েন্ট খেলতে। দু-তিন শটের পরই যদি কোনও শিশু বা কিশোর
শিক্ষার্থী নেটে বা বাইরে পাঠিয়ে দেয় বল, নিজেই উৎসাহ বাড়ালেন ‘কন্টিনিউ’ বলে।
খেলাশেষে সবার মাথায়-গা্য়ে হাত বুলিয়ে দিলেন পরম মমতায়, ডেকে ডেকে কারও চুলটা
নেড়ে, কারও গালে আদরের চাপড় মেরে, প্রায প্রত্যেকের জার্সিতে সই করে দিয়েই ছাড়লেন
কোর্ট।
প্রেস কনফারেন্স শেষে
আবার সেই কোর্টেই ফিরে এলেন তরতাজা। রোজকার নেটের ওধারে বল পাঠানোর কাজটা যে সকালে
সেভাবে করা হয়নি যেভাবে করতে অভ্যস্ত। কী আসে যায় প্রদর্শনী ম্যাচে, ভাবনা যাঁর
ত্রিসীমানায় ঘেঁষতে সাহস পায় না। হিটিং পার্টনার থাকলেন নিজের ছন্দে, কাকা-কোচের
তীক্ষ্ণ নজরদারি, ঘণ্টাখানেক চলল বল-পেটানোর সেই নির্মম নির্দয় নিরলস সাধনা। আরকে
খান্না টেনিস আকাদেমির গ্যালারিতে, কোর্টের অত কাছে বসে সেই অনুশীলন দেখতে দেখতে
ভাগ্যবান মনে হচ্ছিল নিজেকেই। যে বিষাক্ত টপস্পিনওয়ালা ফোরহ্যান্ডগুলো টিভি-তে
দেখতে দেখতে, উইকিপিডিয়ালব্ধ তথ্য যে শটগুলোর রিভোলিউশন প্রতি-মিনিট বলছে গড়ে ৩২০০
(সাম্প্রাস বা আগাসির ক্ষেত্রে যা ১৮০০-১৯০০ বড়জোর, ফেডেরারের ২৭০০!), সর্বোচ্চ
৪৯০০, যেগুলো শেষ হয় ব্রায়ান লারার অতি-পরিচিত কাঁধের ওপরে পৌঁছে-যাওয়া
অনিন্দ্যসুন্দর ফলো-থ্রুতে, এভাবে মিনিট পঁয়তাল্লিশ দেখার সুযোগ কি আর আমাদের দেশে
রোজ রোজ বা বছর বছরও হয়?
আর সাফল্যের রহস্য
সমাধানের ঝাঁপিটাও খুলে তুলে ধরলেন টেনিস-পিপাসু ভারতীয় সাংবাদিকদের সামনে। ‘যখন
ছোট ছিলাম, স্বপ্ন দেখতাম রোলাঁ গারোয় খেলব, উইম্বলডনে, পেশাদার টেনিস প্রতিযোগিতাগুলোতে।
বাচ্চারা যে স্বপ্নগুলো দেখে আর কী! সেই স্বপ্নটাকে সত্যি করে তোলার জন্য আমার
প্রেরণা, আমার প্যাশন আর আমার পরিশ্রমই শেষ পর্যন্ত স্বপ্নটাকে সফল করে তুলেছে।
অন্যরাও এই পথে এভাবেই চললে সাফল্য আসবেই। আমি তো পেরেছি, ওরা পারবে না কেন? যা
করি, ভালবেসে। আমাদের তুমুল প্যাশন। কাজটাকে ভালবাসি বলেই রোজ করি। করতেই হবে।
নিজেকে উন্নত করতে। প্রতি বছর নিজেকে আরও ভাল জায়গায় দেখতে চেয়ে। এটাই রাস্তা,
একমাত্র। রহস্য নেই কোনও।’ বিশ্বের যে কোনও পেশার যে কোনও চূড়ান্ত সফল যা বলে
থাকেন, রোজ। আমরা যা শুনি আর ভুলে যাই, রোজ! আর বারবার সাফল্যের রহস্য সন্ধানে
প্রশ্নের পর প্রশ্ন তুলে যাই, কাটাছেঁড়া করতে চাই বিভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে, যেন
সাফল্যের রহস্য সমাধানে আমরা প্রত্যেকেই এক-একজন প্রদোষ মিত্তির! শেষে পড়ে থাকি
সেই তিমিরেই, আমাদের অতি-সাধারণ ছাপোষা গড়পড়তা পিএফ-গ্র্যাচুইটি নির্ভর চরম আটপৌরে
রিক্ততায়।
‘আর্টিজান’ (artisan) নাদাল সমালোচকের মন-ভোলানো ‘আর্টিস্ট’ নন। কিন্তু, তাঁর চেয়ে বড় শিল্পী-ই বা কতজন!
Sunday, November 22, 2015
বেনিতেজের দর্পচূর্ণ, জিদান এবার রেয়ালের কোচ হলেন বলে!
![]() |
২৪ পাসের সুয়ারেজ-গোল, সৌজন্য, @OptaJose |
কাশীনাথ ভট্টাচার্য
বার্সেলোনা – ৪ রেয়াল
মাদ্রিদ – ০
(সুয়ারেজ ১১, ৭৪, নেইমার ৩৯, ইনিয়েস্তা ৫৩)
খুয়ানদে রামোস ছিলেন রেয়াল মাদ্রিদের দায়িত্বে।
বিপক্ষে পেপ গারদিওলার বার্সেলোনা। ২০০৯ লা লিগায় সেই ম্যাচেই শেষবার এল ক্লাসিকোয়
যুযুধান দুই শিবিরের দায়িত্বে দুই স্পেনীয়। যদিও এই পরিচয়ে খুশি হওয়ার কোনও কারণই
খুঁজে পাবেন না আজন্ম-কাতালান গারদিওলা। সেই ম্যাচে বার্সেলোনা এভাবেই গুঁড়িয়ে
গিয়েছিল রেয়ালকে, ৬-২। আবার দুই শিবিরে দুই স্পেনীয় কোচ এবার। মাঝে ৬ বছর কিন্তু
রেয়ালের হারের ব্যবধান একই, চার গোলের! কার্লো আনসেলোত্তির অভিশাপ?
দু’মরশুমে হোসে মোরিনিওর প্রভাব কাটিয়ে রেয়ালকে
ফুটবলের পথে ফিরিয়ে আনতে সচেষ্ট ছিলেন ইতালীয় আনসেলোত্তি। গত বছর বের্নাবেউতেই কোচ
লুইস এনরিকের অভিষেক হয়েছিল এল ক্লাসিকোয়, লুইস সুয়ারেজের তো বার্সেলোনা-অভিষেকই। দুমড়ে-মুচড়ে
দিয়েছিল রেয়াল, তীব্র গতির প্রতি আক্রমণে। জিতেছিল ৩-১, ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোর
পেনাল্টি এবং পেপে ও বেনজেমার গোলে। রেয়ালকে বড় সাধের ‘লা দেসিমা’ বা দশম
চ্যাম্পিয়ন্স লিগ খেতাব এনে দেওয়ার পরও কর্তারা রাখেননি আনসেলোত্তিকে। ফল দেখুন।
নিজেদের মাঠে রেয়াল এখন দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে চার গোল খাচ্ছে শুধু নয়, সাত গোল খেলেও
বলার থাকত না কিছুই। আর এখন তো আবার জিনেদিন জিদান কোচ হলেন বলে!
কেন? রাফা বেনিতেজের দলে ফিরে এসেছে মোরিনিও-সিনড্রোমগুলো,
আবার! সের্খিও রামোস মারামারিতে মন দিয়েছেন, কার্ভাহাল তো চিরকাল এমনই করেন।
ম্যাচের শুরুতেই রামোসের জঘন্য ফাউল, রেফারি দেখেও্ দেখেন না বেশিরভাগ সময়। জানেনই
যে, রামোস এমন ফাউল আবারও করবেন, কার্ড দেখানোর সুযোগ এনে দেবেন যেচে, সেই ভেবেই
হয়ত। না হলে, সুয়ারজকে ওই ফাউলের জন্য কার্ড না-দেখানোর আর কোনও কারণ খুঁজে পাওয়া
সম্ভব নয়। রামোস তারপর ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে যা যা সম্ভব করেছিলেন। বিপক্ষ
ফুটবলারের পায়ের ওপর পা দিয়ে দেওয়া, বক্সের মধ্যে সুয়ারেজকে পায়ে মেরে ফাউল
(রেফারি দেখেও দেখেননি, নিশ্চিত পেনাল্টি), পরে একবার হলুদ কার্ড দেখলেন বটে,
কিন্তু তার অনেক আগেই মাঠে থাকার অধিকার হারিয়ে ফেলেছিলেন রামোস। জাভি এরনান্দেজ
টুইট করলেন ম্যাচ-শেষে, বক্তব্য, রেয়াল মাদ্রিদ হল ঠগীদের কারখানা! অধিনায়ক রামোসকে
দেখলেই বোঝা সম্ভব। এমনকি রোনালদোও কনুই চালালেন জেনেবুঝে, রেফারি কড়া হলে আলভেসকে
কনুই চালানোর জন্য লাল কার্ডও দেখাতেই পারতেন, আগে তাঁকে ফাউল করা হয়েছে এই সত্য
মেনে নিয়েই। ইসকোর লাল কার্ডে সমস্যা হয়নি, রোনালদোকে বের করে দিলে সমস্যা আরও বাড়ত
না কি রেয়ালের?
![]() |
বার্সেলোনার জোড়া ফলার এই ম্যাচে তিন গোল! |
ট্যাকটিক্স-ট্যাকটিক্স করে চিৎকার করেন যাঁরা, আসলে
ট্যাকটিক্স হল রক্ষণে আরও জোর দেওয়া। যেমন মেরিনিও করেন, বেনিতেজও। দুজনের কখনই
বনে না, সেই কারণে। দেখতেই পারেন না একে অপরকে। বেনিতেজের একটা বলার মতো সাফল্য
আছে, ২০০৫ লিভারপুলের হয়ে সেই চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ফাইনাল। ০-৩ পিছিয়ে থেকে
দ্বিতীয়ার্ধে ৩-৩, পরে টাইব্রেকারে জয়। আনসেলোত্তি ছিলেন তখন মিলানে। ডিয়েটার
হামানকে নামিয়ে কাকার ছুটি করে দিয়েছিলেন দ্বিতীয়ার্ধে, তাতেই জয়, লিখেছিলেন ব্রায়ান
গ্ল্যানভিল। হামান যদি এত বড়ই ফুটবলার হন যে কাকাকে ছুটি করে দিতে পারেন, তিনগোল
না-খাওয়া পর্যন্ত তাঁকে নামানো যায় না কেন, গ্ল্যানভিলকে এ-প্রশ্নটা করার সুযোগ
অবশ্য হয়নি! আর, ওই ম্যাচের অতিরিক্ত সময়ের শেষে কাকার ডিফেন্সচেরা থ্রু-টা
আন্দ্রে শেভচেঙ্কো যে ওভাবে মিস করবেন, সেটাও কি বেনিতেজ জেনেই নামিয়েছিলেন
হামানকে, জানা যায়নি।
তবু, জয় জয়ই। কিন্তু, তারপর বেনিতেজ লিভারপুলকে নিয়ে
বা অন্য আরও বহু দল নিয়েও কী করেছেন গত ধস বছরে, জানা যায়নি! অন্তত, রেয়াল
মাদ্রিদের কোচ হওয়ার মতো কিছু করেননি, গতবারের নাপোলির পারফরম্যান্সেই পরিষ্কার।
করিম বেনজেমা পুরোপুরি সুস্থ নন। ফরাসি সতীর্থের সঙ্গে অনুচিত কাজ করে পস্তেছেন।
কিন্তু, ক্লাসিকোয় খেলের মতো সুস্থ কি? ‘বিবিসি’ ধরে রাখতে আর চাপ বাড়াতে বেনিতেজ
নামিয়ে দিলেন, মাঠে রাখলেনও বেনজেমাকে। হামেস রদরিগেজ আর মার্সেলো, খানিকটা খেলার
চেষ্টা করছিলেন। দুটো শটও ছিল তিনকাঠিতে হামেসের যা দক্ষতার শীর্ষে থেকেই বাঁচাতে
হয় ব্রাভোকে। মার্সেলোও একবার আলভেজকে পেরিয়ে শেষে শটটা সাইড নেটে মারেন, গোলে
রাখতে পারলে হয়ত পরাস্ত করতেও পারতেন ব্রাভোকে। সেই দুজনকেই তুলে নিলেন। কী অসাধারণ
ফুটবল-মস্তিষ্ক!
লুইস এনরিকে কিন্তু লিওনেল মেসিকেও সুস্থ পেয়ে অযথা
তাড়াহুড়ো করেননি। মেসিকে ছাড়াই বার্সেলোনা যখন জিতে চলেছিল, নেইমার আর সুয়ারেজ
ম্যাচ বের করে আনছিলেন গত দু’মাসে, হঠাৎ করে সেই ছন্দ ভাঙতে চাননি। হ্যাঁ, মাঝমাঠে
ফিরিয়েছিলেন ইভান রাকিতিচকে। লুকা মোদরিচের ক্রোয়েশিয়া-সতীর্থর সঙ্গে মাঝমাঠ দখলের
লড়াইতে সমানে-সমানে লড়তে পারবেন বলে। দুই ক্রোয়েশীয় পরস্পরের বিরুদ্ধে লড়ছেন এল
ক্লাসিকোয়, ক্রোয়েশিয়ার ফুটবলের বিরাট বিজ্ঞাপন, অবশ্যই। মেসি কিন্তু মাঠে
এসেছিলেন তৃতীয় গোলের পর, রাকিতিচকে বিশ্রাম দিয়ে। অযথা হাঁকপাক না-করাটাও কোচেরই
কাজ!
মাঝমাঠ যতটা সংঘবদ্ধ থাকলে বার্সেলোনর কোনাকুনি
পাসগুলো আটকাতে পারে, রেয়ালের মাঝমাঠ তেমন ছিল না। সঙ্গে, সেন্ট্রাল ডিফেন্সে রামোসের
অদক্ষতা। ভারানে-কে আগে এই ম্যাচে যতটা ভাল দেখিয়েছে, ততটাই খারাপ শনি-রাতে, হয়ত
সঙ্গীর কারণেই। স্টপাররা খেলেন জুটিতে, ফুটবলের এই প্রাথমিক সত্য অনস্বীকার্য।
মাসচেরানোর দুর্ভাগ্যজনক বেরিয়ে যাওয়ার পরও বার্সেলোনাকে ভুগতে হয়নি পিকে-র সঙ্গে
পরিবর্ত মাথিউও জুটিতে যথেষ্ট ভাল খেললেন বলেই। আর হামেস-ক্রুস-মোদরিচের মাঝমাঠ রাকিতিচ-বুসকেতস-ইনিয়েস্তার
সঙগে লড়াইয়ের আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিল যেন!
ম্যাচের সেরা হিসেবে নাম উঠছে দুজনের। আন্দ্রে
ইনিয়েস্তা ও ক্লদিও ব্রাভো। নেইমার-সুয়ারেজও খুব বেশি পিছিয়ে থাকবেন না। বের্নাবাউতে
প্রথমবার অধিনায়ক হিসেবে ইনিয়েস্তা অনবদ্য। এ-মরশুমের প্রথম গোল ও প্রথম অ্যাসিস্ট
এল তাঁর পা থেকে। নেইমারকে সাজিয়ে দিয়েছিলেন দলের দ্বিতীয় গোলের সময়, তৃতীয় গোলের
সময় নেইমার অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে পায়ের পেছনের টোকায় রেখে দিয়ে যান,
ইনিয়েস্তাকে শট করার জন্য। পরে নেইমার আবার মুনিরের জন্য যে-বলটা রেখেছিলেন, গোল
না-করাটা অপরাধ! পিকে এতটাই রেগে গিয়েছিলেন যে রীতিমতো বকলেন জুনিয়র মুনিরকে।
রেয়ালের মাঠে রেয়ালকে পাঁচগোল দেওয়ার সুবর্ণসুযোগ হাতছাড়া কে-ই বা করতে চায়!
প্রথম গোলের সময় ২৩ পাসের পর সের্খিও রোবের্তোর
অনবদ্য ডিফেন্সচেরা বাঁপায়ের থ্রু আর চতুর্থ গোলের সময় মেসির বল ধরে এগিয়ে যাওয়ার
পুরনো ছবির পাশাপাশিই রাখতে হবে ব্রাভোর অন্তত গোটা চারেক নিশ্চিত গোল-বাঁচানোও।
রেয়াল বেশ খারাপ খেললেও গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিল বেশ কয়েকবার, অতর্কিতে। হামেসের
দুই, বেলের এক, বেনজেমার শট ও রোনালদোর প্লেসিং ও হেড - ব্রাভোকে তবু টলানো
যায়নি। বিশেষ করে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই
রেয়াল বেশ গতিতে শুরু করেছিল, বার্সেলোনাকে বল ধরতে না-দিয়েই। ওই সময় ২-০ এগিয়ে
ছিল বার্সেলোনা। ব্রাভো একটি গোলও খেলে আরও জাঁকিয়ে বসতে পারত রেয়াল। বলা যায় না,
হয়ত ফিরেও আসতে পারত ম্যাচে। চিলির অধিনায়ক তা হতে দেননি। ফলে, লা লিগায় ১২ রাউন্ড
শেষে রেয়ালের থেকে এখন ৬ পয়েন্টে এগিয়ে গেল বার্সেলোনা (৩০)। সার্বিক ফলের হিসেবেও
রেয়ালের আরও কাছে বার্সেলোনা, এখন ৯২-৯০।
আর, মেসিপ্রেমীদের জন্য সুখবর। তিন রাত পর, ইউরোপে,
রোমার বিরুদ্ধে আবার সেই বাঁ পায়ের জাদু দেখতে পাওয়ার সম্ভাবনা, হয়ত শুরু থেকেই!
Friday, November 20, 2015
Saturday, November 14, 2015
আর্জেন্তিনা-ব্রাজিল নিয়ে পাঁচকথা!
![]() |
লাভেজির গোল, লুইজ এসে পৌঁছতে পারেননি! |
কাশীনাথ ভট্টাচার্য
![]() |
লুকাস লিমার গোলে এক পয়েন্ট ব্রাজিলের |
সুপার ক্লাসিকো অমীমাংসিত।
৩৪ মিনিটে এজেকিয়েল লাভেজির গোলে এগিয়ে গিয়েছিল আর্জেন্তিনা। বিপক্ষ প্রতি আক্রমণে
আসছে অত্যন্ত দ্রুতগতিতে। ব্রাজিল রক্ষণে দাভিদ লুইজ আর দানি আলভেস এমন
পরিস্থিতিতে গোল খাবেন, নিশ্চিত! বহুবার খেয়েছেন, আবারও খেলেন, যখন আলেখান্দ্রো দিমারিয়ার
থ্রু খুঁজে পেল ইগাইনকে। আলভেস নিজের জায়গায় থাকেন কখনও কখনও। ওপরে উঠে নিচে
তাড়াতাড়ি নামতে না-পেরে দৃষ্টিকটু ফাউলও করেন, আবার পায়ে বিপক্ষের কারও পা লাগলে
‘বাবা রে, মা রে’ বলে পা চেপে ধরে গড়াগড়িও যান। লুইজও নিজেকে ওপরে দেখতেই
ভালবাসেন। সোজা নামছিলেন তিনি, কোনাকুনি আলভেজ। ইগাইনের বাড়ানো বল অবহেলায় খুঁজে
নিল লাভেজিকে। পিএসজি-র স্ট্রাইকার ভুল করেননি। ৫৮ মিনিটে ১-১ ব্রাজিলের লুকাস
লিমার। আলভেজের সেন্টারেই গোলের মুখ খোলে। মাঠে সদ্য-আসা দগলাস কোস্তা (কেন প্রথম
থেকেই নয়?) সেই সেন্টারে জোরালো হেড করেছিলেন যা বারে লেগে ফিরে আসে বক্সের মধ্যে।
সানতোসের লিমার শটে রোমেরো পরাস্ত। দু’মিনিটে দু’বার হলুদ কার্ড দেখে দাভিদ লুইজের
বেরিয়ে-যাওয়া, ৮৬ মিনিটে।
ম্যাচের বাকি পাঁচ কথা -
দিমারিয়ার ১০
চকচক করলেই সোনা হয় না
যেমন, দশ নম্বর জার্সি পরলেই পেলে হওয়া যায় না, প্রবাদের মতোই সহজ সত্য। কোনও কোনও
দশনম্বরী তো আবার পিঠে জার্সি ঝুলিয়েই নিজেকে পেলের চেয়েও বড় ভেবে ফেলতেন,
অনায়াসে! এখানে তেমন হয়নি। কিন্তু, আর্জেন্তিনা-ব্রাজিল ম্যাচ টিভিতে দেখতে বসেই
তাজ্জব। আলেখান্দ্রো দিমারিয়ার জার্সি নম্বর দশ কেন? এই আর্জেন্তিনা দলে দশ নম্বর
জার্সির মালিক তো এখনও অবসর নেননি! অনুপস্থিতিতে অধিনায়কের আর্ম-ব্যান্ড কাউকে না
কাউকে পরতেই হয়, নিয়ম। আঘাতের কারণে অনুপস্থিতিতে জার্সি নম্বরের মালিকানাও কি
পাল্টে যায়? বলিহারি আর্জেন্তিনা দলের পরিচালকদের বুদ্ধি! দিমারিয়া অবশ্য চেষ্টা
করেছিলেন দশের মান রাখতে। ইগাইনকে পাসটা মনে রাখার মতোই। কিন্তু, মোরিনিওর রেয়াল
মাদ্রিদে থাকার সময় রোনালদোকে প্র্যাকটিসে দেখে-দেখে ফুলের ঘায়ে মুচ্ছো যাওয়ার
রোগটা এখনও রয়েছে। গত বছর চারেকে তেমন বিসদৃশ কিছু না-ঘটলেও, আর্জেন্তিনার ‘দশ’-এর
এমন ইতিহাস অবশ্য মোটেই বেমানান নয়। বিশেষত যাঁদের মনে আছে ১৯৯০ বিশ্বকাপের কথা!
‘অপরাজিত’ দুঙ্গা!
এক পয়েন্ট এল। স্বস্তি দুঙ্গার।
হারতে হল না যে! সামনে এবার পেরু। খেলাও ঘরের মাঠে। ৩ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট সঙ্গে।
পেরুকে হারাতে পারলে ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট নিয়ে বেশ খানিকটা উঠে আসা যাবে। বুয়েনস
আইরেসে আগের ২৮ ম্যাচে ১৪ হার ছিল ব্রাজিলের। এবার আর হারতে হয়নি। তা ছাড়া,
আর্জেন্তিনার কাছে এবারও হারলেন না কোচ দুঙ্গা। আগের ৫ ম্যাচে ৪ জয় ও ১ ড্র ছিল।
শেষ যেবার আর্জেন্তিনায় এই দুই চিরশত্রু দেশ খেলেছিল বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে, সেই
২০০৯, মেসির জন্মশহর রোজারিওতে দিয়েগো মারাদোনার প্রশিক্ষণে থাকা আর্জেন্তিনাকে
৩-১ হারিয়েছিল দুঙ্গার ব্রাজিল। এবার না জিতলেও টানা ৬ সুপারক্লাসিকোয় অপরাজিত,
চাকরি নিয়ে টানাটানি পড়লেও পরিসংখ্যানে সন্তুষ্ট হবেন দুঙ্গা, নিশ্চিত! কিন্তু যা
মানা কঠিন, থিয়াগো সিলভার না-থাকা। নেইমারকে অধিনায়ক করবেন বলে থিয়াগোকে বাদ
দিয়েছেন দুঙ্গা। গোলে তথাকথিত বয়স্ক জেফারসনকে সরিয়ে তরুণতর আলিসনকে খেলানোর
সিদ্ধান্ত যদিও সমর্থনযোগ্য, থিয়াগোকে বাদ দিয়ে ব্রাজিলের সেন্ট্রাল ডিফেন্স এখনও
চূড়ান্ত নড়বড়েই।
অস্বস্তিতে তাতা মার্তিনো
৩ ম্যাচে ২ পয়েন্ট। তার
মধ্যে ঘরের মাঠে দুটো ম্যাচ হয়ে গেল। যদিও দুটোই বেশ কঠিন ছিল, কিন্তু শুনবে কে? এবার
আবার সামনে হামেস রদরিগেজ-এর কলম্বিয়া, তা-ও আবার কলম্বিয়াতে। মেসি-আগেরো-তেভেজ
নেই সেখানেও। কোচ চাইবেন তিন পয়েন্ট। কিন্তু, এক পয়েন্ট এলেই যথেষ্ট, জানেন খুব
ভাল করে। হারলে কিন্তু চাকরি বাঁচানো চাপ। এমনিতে দক্ষিণ আমেরিকায় ১৮ ম্যাচের
বাছাইপর্ব। কলম্বিয়ার কাছে হেরে গেলেও ১৪ ম্যাচ থাকবে হাতে। কিন্তু তখন তাতা-র হাতে
চাকরি থাকবে কিনা সন্দেহ!
জার্সিবদল
লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে
আর্জেন্তিনার অধিনায়কত্ব করলেন হাবিয়ের মাসচেরানো, ব্রাজিলের নেতৃত্বে ফিরলেন
নেইমার। দুই ক্যাপ্টেন আবার বার্সেলোনায় সতীর্থ। ম্যাচ শেষে মাসচেরানো এসে জড়িয়ে
ধরলেন নেইমারকে। নেইমারই বললেন মনে হল, জার্সি বদলানোর কথা। দুই ক্যাপ্টেন
বদলালেনও জার্সি। দিমারিয়া বা লাভেজির সে-সুযোগ ছিল না। তাঁদের পিএসজি সতীর্থ লুইজ
লাল কার্ড দেখে আর মাঠে থাকতেন কী করে!
মেসি এবং আর্জেন্তিনা
![](https://blogger.googleusercontent.com/img/b/R29vZ2xl/AVvXsEg60q83PS6fF-Zdxjx0nt1Bq15EFO9dSdcGquLxIeRhLmcVuvG0JowuI2SR1YcML4sSuu9WCmMOvFdPdfSm4Uaujzh6Pmcd44almAphVXg2YIzQZCsG6Y4YDlsvhh0d039uLba7XAo1/s400/messi.jpg)
Thursday, November 12, 2015
আপাতত ব্রাজিল এগিয়ে ৩৯-৩৮!
কাশীনাথ ভট্টাচার্য
রাত পোহালেই বুয়েনস আইরেসে, ২০১৮ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের ম্যাচে, আলবিসেলেস্তে বনাম সেলেকাও। অর্থাৎ আর্জেন্তিনা বনাম ব্রাজিল।
আর্জেন্তিনার সমস্যা - লিওনেল মেসি, সের্খেই আগেরো, কার্লোস তেভেজ নেই। ব্রাজিলের
হয়ে ফিরবেন নেইমার, চার ম্যাচের মির্বাসন কাটিয়ে। অর্থাৎ, মেসি বনাম নেইমার হচ্ছে
না।
আর্জেন্তিনার এবার বাছাইপর্বের শুরুটা ভাল হয়নি। প্রথম ম্যাচে হার, দ্বিতীয়
ম্যাচে ড্র। ঘরে ১ পয়েন্ট মাত্র। ব্রাজিলও প্রথম ম্যাচে হেরেছিল, কিন্তু দ্বিতীয়
ম্যাচে জিতে হাতে ৩ পয়েন্ট নিয়ে খেলতে গিয়েছে আর্জেন্তিনার রাজধানীতে।
বুয়েনস আইরেসে অবশ্য ব্রাজিলের রেকর্ড বেশ খারাপ। ২৮ ম্যাচে ৮ জয় মাত্র, হার
১৪।
চাপে আছেন দুই কোচই। তাতা মার্তিনোর আর্জেন্তিনা ধারাবাহিক নয। যদিও মেসির
অনুপস্থিতিই দায়ী। বিশ্বকাপে আর্জেন্তিনা ফাইনালে ওঠার পরও অনেকে বলেছিলেন, দল
নাকি বেশ ভাল, মেসির নাকি কোনও অবদানই ছিল না। বাছাইপর্বের দুটি ম্যাচেই প্রমাণ
হয়ে গিয়েছে মেসি না-থাকলে আর্জেন্তিনার কী দশা হয়!
ব্রাজিলে দুঙ্গাকে নিয়েও প্রচুর প্রশ্ন। সম্প্রতি জিকোও প্রশ্ন তুলেছেন,
ব্রাজিলের দায়িত্ব কেন দুঙ্গাকে আবার দেওয়া হয়েছে? ব্রাজিলের কাগজেও উঠেছে প্রশ্ন,
যদিও এই দল নিয়ে মাঝেমাঝেই জিতে যাওয়ায় কিছু সমর্থকও পেয়েছেন দুঙ্গা। কিন্তু,
চিরশত্রুতার এই ম্যাচে, মেসিহীন আর্জেন্তিনাকে না-হারাতে পারলে আবারও প্রশ্নগুলো
বড় আকারে উঠবে না, নিশ্চয়তা নেই!
সম্ভাব্য প্রথম ১১
আর্জেন্তিনা – রোমেরো, রোনকাখলিয়া, ওতামেন্দি, মোরি, রোখো, মাসচেরানো,
বিখলিয়া, বানেগা, দিমারিয়া, লাভেজি, ইগাইন
ব্রাজিল – আলিসন, আলভেজ, মিরান্দা, দাভিদ লুইজ, ফিলিপে লুইস, গুস্তাভো,
এলিয়াস, অস্কার, উইলিয়ান, কোস্তা, নেইমার
পরিসংখ্যান
সমস্যা মানে বিরাট সমস্যা!
আর্জেন্তিনা-ব্রাজিল চিরশত্রুতার ইতিহাস এমন যে, আন্তর্জাতিক কোনও ওয়েবসাইটেও
পরিসংখ্যান ঠিকঠাক নেই। আর্জেন্তিনীয় ওয়েবসাইটগুলোর দাবি, তারা এগিয়ে।
স্বাভাবিকভাবেই উল্টোটা ব্রাজিলে। এমনকি, আন্তর্জাতিক ফুটবলের ক্ষেত্রে যদি আর এস
এস এস এফ-কে (রেকর্ড স্পোর্ট সকার স্ট্যাটিসটিক্স ফাউন্ডেশন) নিরপেক্ষ এবং ঠিক
ভেবে নেন, সেখানে দেখাচ্ছে, ২০০৮ সালের ১৮ জুনের পর ব্রাজিল আর আর্জেন্তিনা
মুখোমুখি হয়নি!
তবু, এই পরিসংখ্যানে আর এস এস এস এফ-কেই ‘ঠিক’ ধরে এগোন হয়েছে। ২০০৮-এর পর আরও
৮বার ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা মুখোমুখি হয়েছে। সেই ৮ ম্যাচের পরিসংখ্যান মিলিয়ে এই মুহূর্তে
ব্রাজিল এগিয়ে ৩৯-৩৮!
আরও সমস্যা এই যে, এই চিরশত্রুতার ইতিহাসে কে সবচেয়ে বেশি গোল করেছেন, খুঁজে
পেলাম না! মানে, অনেকগুলি ওয়েবসাইটে দেখা যাচ্ছে ১৯১৪ থেকে প্রায় সব ম্যাচের ফল। কিন্তু,
গোল করেছিলেন কারা? হন্যে হয়েও পেলাম না।
প্রথম ম্যাচ
২০ সেপ্টেম্বর, ১৯১৪ – বুযেনস আইরেসে, আর্জেন্তিনা জয়ী ৩-০
শেষ ম্যাচ
১২ অক্টোবর, ২০১৪ – বেজিং, ব্রাজিল জয়ী ২-০
|
ম্যাচ
|
আর্জেন্তিনা
জয়ী
|
ব্রাজিল
জয়ী
|
ড্র
|
আর্জেন্তিনার
গোল
|
ব্রাজিলের
গোল
|
আর্জেন্তিনায়
|
৩৪
|
১৬
|
৭
|
১১
|
৬০
|
৩৬
|
ব্রাজিলে
|
৩৯
|
৯
|
২৩
|
৭
|
৫৩
|
৮০
|
নিরপেক্ষ দেশে
|
২৮
|
১৩
|
৯
|
৬
|
৪৬
|
৪১
|
মোট
|
১০১
|
৩৮
|
৩৯
|
২৪
|
১৫৯
|
১৫৭
|
বিশ্বকাপ
|
৪
|
১
|
২
|
১
|
৩
|
৫
|
বিশ্বকাপের বাছাইপর্ব
|
৬
|
২
|
৩
|
১
|
৮
|
১১
|
কনফেডারেশনস কাপ
|
১
|
০
|
১
|
০
|
১
|
৪
|
কোপা আমেরিকা
|
৩২
|
১৫
|
৯
|
৮
|
৫২
|
৩৮
|
বুয়েনস আইরেস
|
২৮
|
১৪
|
৬
|
৮
|
৫২
|
৩৩
|
রিও দে জানেইরো
|
১৯
|
৪
|
১২
|
৩
|
২৫
|
৪৫
|
ঋণ -
http://www.rsssf.com/tablesb/brasargres.html, https://en.wikipedia.org/wiki/Argentina%E2%80%93Brazil_football_rivalry, http://www.worldfootball.net/teams/brasilien-team/argentinien-team/11/, http://www.mundoalbiceleste.com/Article.aspx?id=2175
Labels:
Argentina vs Brazil,
dunga,
messi,
Neymar,
Statistics,
Tata Martino,
WCQ 2018
Subscribe to:
Posts (Atom)