কাশীনাথ
ভট্টাচার্য
বিশ্বকাপের
বাছাইপর্বে ব্রাজিলের বিরুদ্ধে এবং লা লিগায় রেয়াল মাদ্রিদের বিরুদ্ধে, দুটি
‘ক্লাসিকো’তেই সম্ভবত খেলতে পারছেন না লিওনেল মেসি।
লা
লিগায় লাস পামাসের বিরুদ্ধে চোট পেয়ে মেসিকে দশ মিনিটেই বেরিয়ে যেতে হল। পরে
পরীক্ষায় জানা গেল, বাঁ হাঁটুর লিগামেন্টে পেশি ছিঁড়েছে মেসির। অন্তত ৭-৮ সপ্তাহ
বাইরে। ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে ৮ সপঞতাহ বাইরে মানে মাস দুই। অর্থাৎ নভেম্বরের শেষ
সপ্তাহের আগে ফিরতে পারছেন না। সমস্যায় পড়তে হবে বার্সেলোনার পাশাপাশি
আর্জেন্তিনাকেও।
২০১৮
বিশ্বকাপের বাছাইপর্বের খেলা শুরু করতে হবে আর্জেন্তিনাকে, অধিনায়ককে ছাড়াই। ইকুয়েদরের বিরুদ্ধে ৮ অক্টোবর ঘরের
মাঠে প্রথম খেলা আর্জেন্তিনার, পারাগে-র বিরুদ্ধে খেলা ১৩ অক্টোবর। দুটিতেই খেলার কোনও
সম্ভাবনা নেই মেসির। এমনকি, তার পরের ম্যাচ, যেখানে বিপক্ষে চিরশত্রু ব্রাজিল,
খেলতে পারবেন না। ম্যাচ ১৩ নভেম্বর। তার চার দিন পরই কলম্বিয়ার বিরুদ্ধে খেলা।
অর্থাৎ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্রথম চার ম্যাচেই নেই মেসি!
লা
লিগায় অন্তত পাঁচটি ম্যাচ বাইরে থাকতেই হচ্ছে। সেভিয়া (৭ অক্টোবর), রায়ো ভায়েকানো (১৮
অক্টোবর), এইবার (২৫ অক্টোবর), খেতাফে (১ নভেম্বর), ভিয়ারেয়াল (৮ নভেম্বর)। রেয়াল
মাদ্রিদের বিরুদ্ধে এল ক্লাসিকো আগামী ২২ নভেম্বর। সেই ম্যাচে খেলা নিয়েও সংশয়।
কারণ, আট সপ্তাহ বাইরে থেকে মাঠে ফিরেই এল ক্লাসিকোয় খেলার মতো শারীরিক অবস্থায়
থাকবেন কি? ২৯ নভেম্বর রেয়াল সোসিয়েদাদের বিরুদ্ধে ফিরতে পারেন লা লিগায়। সুবিধে
নিশ্চিতভাবেই রেয়াল মাদ্রিদের। মালাগার বিরুদ্ধে ড্র করে আবারও বার্সেলোনাকে এগিয়ে
দিলেন যদিও ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোরাই, সামনের ৫-৬ ম্যাচে সুদে আসলে শোধ তুলবেন। রোজ
রোজ তো আর নিশ্চিত গোলগুলো বাউন্ডুলের মতো হারাবেন না রোনালদোরা! তা ছাড়াও, এল
ক্লাসিকোয় যদি মেসি না-খেলেন, সুবিধেজনক অবস্থানে থাকবে রেয়াল মাদ্রিদ,
নিঃসন্দেহে।
ইউরোপে
গতবারের চ্যাম্পিয়নদের কাজটাও কঠিন হয়ে গেল। বার্সেলোনাকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ২৯
সেপ্টেম্বর বেয়ার লেভারকুসেন, ২০ অক্টোবর ও ৪ নভেম্বর বাতে বোরিসভের বিরুদ্ধে
খেলতে হবে, কোনও ম্যাচেই মেসি খেলতে পারবেন না, নিশ্চিত। ২৪ নভেম্বর রোমার
বিরুদ্ধেও খেলা কঠিন। শেষ ম্যাচে ফিরবেন তখন। সতীর্থদের কাঁধে এখন বিরাট চাপ তাই,
দলকে টেনে নিয়ে যাওয়ার। প্রাথমিক পর্ব থেকে নকআউটে। লুইস সুয়ারেজ আর নেইমারকেই
নিতে হবে দায়িত্ব। সুয়ারেজ তো তবু দু-গোল করে লাস পামাসের বিরুদ্ধে জেতালেন।
নেইমার অত্যন্ত দৃষ্টিকটুভাবে ওড়ালেন সুয়ারেজের পাওয়া পেনাল্টি। সুয়ারেজ মারতে
গেলে হ্যাটট্রিক হতে পারত। কেন নেইমার গেলেন, কারণ নেই। বোঝানোর চে্ষ্টা, যে, মেসি
মাঠে না থাকলে নেইমারই সেরা, সুয়ারেজ নয়?
আগামী
মাস দুই নেইমার বনাম সুয়ারেজ নিশ্চিতভাবেই দেখতে চাইবে না ইউরোপে গতবারের
চ্যাম্পিয়নরা!
No comments:
Post a Comment