২১ জুন, ১৯৭০। ফুটবল হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিল স্বতঃস্ফূর্ততার
আনন্দে। সে বড় আনন্দের দিন। আজ তার বয়স পঞ্চান্ন।
ব্রাজিলের কোনও কবীর সুমন নিশ্চয়ই লিখেছিলেন পর্তুগিজ ভাষায় - অমরত্বের প্রত্যাশা নেই নেই কোনও দাবি দাওয়া, এই নশ্বর জীবনের মানে শুধু ‘তোমাদের’ চাওয়া!
সেই চাওয়া ফুরোয় না। ফুরোয়নি এই পঞ্চান্ন বছরে। আজ, ২১ জুন, ফুটবলের সবচেয়ে সুন্দর রূপ চেয়ে-চেয়ে ফিরে-দেখার দিন, তারিয়ে তারিয়ে উপভোগের দিন, স্মৃতির খুশিতে ভেসে যাওয়ার দিন। আরও একবার মনে-মনে, ইউটিউবের চোখে, ‘জায়েন্টস অফ ব্রাজিল’ ডিভিডি-তে – যার যেখানে খুশি। ওই যে ক্লোদোয়ালদো মাঝমাঠে হেলায় কাটাচ্ছেন চার-পাঁচ নীল জার্সিকে। ওই যে তোস্তাও, বলটা তুলে দিলেন। ওই যে রিভেলিনো, ওই যে জাইরজিনিও, লম্বা লম্বা ‘স্ট্রাইড’। ওই যে বলটা দিলেন পেলেকে, বক্সের ঠিক বাইরে। আর ওই তো সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ পেলের সেই ব্লাইন্ড-পাস! ক্যামেরা কোন ছার, মানসচক্ষেও দেখা যায়নি কোত্থেকে দৌড়ে আসছেন কার্লোস আলবের্তো তোরেস। তাঁর পৌঁছনোর সময়জ্ঞান কম্পিউটারের চেয়েও নিখুঁত, অথচ একটুও যান্ত্রিক নয়। তাঁর ডানপায়ের শটে ফুটবলের কাতানেচ্চিও-মুক্তির অবিস্মরণীয় আনন্দ!
তাঁরা শুধুই ফুটবল খেলেছিলেন। পা দিয়ে, মাথা দিয়ে। আর অবশ্যই, হৃদয় দিয়ে।
সর্বকালের অন্যতম সেরা নিয়ে বিতর্ক আছে, থাকবেও। কিন্তু যা নিয়ে নেই, ১৯৭০ বিশ্বকাপে ব্রাজিল খেলেছিল সবচেয়ে সুন্দর ফুটবল।
সেই সবচেয়ে সুন্দর ফুটবলের পঞ্চান্ন বছর পূর্তি আজ। মেহিকোর আজতেকা স্টেডিয়ামে ফাইনালে কাতানেচ্চিও-ইতালি দুরমুশ ৪-১। নেতির বিরুদ্ধে ইতি-র জয়, ফুটবলকে শৃঙ্খলিত করে তোলার ইউরোপীয় প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে স্বতঃস্ফূর্ততার জয়। মাঠে মনের আনন্দে স্বাভাবিক-স্বতঃস্ফূর্ত ফুটবল খেলার সেই আনন্দ উদযাপন। বিশ্বফুটবল সেই বিশ্বকাপ জয় মনে রেখেছে সানন্দ!
মনে রাখবে না-ই বা কেন? আর কোন্ বিশ্বকাপ দিয়েছে স্মৃতিতেও এমন নিষ্কলুষ ছলচাতুরিহীন আনন্দে ভেসে-যাওয়ার সুযোগ?
সেই জন্যই তো সত্তর বিশ্বকাপের শাশ্বত সত্য হিসাবে যে তিনটি মুহূর্ত উঠে আসে, তিনটিই শেষ হয়েছিল আপাত-ব্যর্থতায়। আপাত, কারণ, সেই মুহূর্তে ব্যর্থ। কিন্তু, পঞ্চান্ন বছরের স্মৃতিতে অবিনশ্বর!
তিন নম্বর গ্রুপে ব্রাজিলের প্রথম ম্যাচ চেকোস্লোভাকিয়ার বিরুদ্ধে। ১১ মিনিটেই গোল খেয়ে পিছিয়ে ব্রাজিল। কিছু ভিডিও দেখেছিলেন পেলে, চেক দলের। চেকোস্লোভাকিয়ার ফুটবলেতিহাসের সেরা গোলরক্ষক ইভো ভিকতর-এর স্বভাব ছিল, বল বিপক্ষের অর্ধে থাকলে এগিয়ে দাঁড়ানোর, বক্সের মাথায়। ক্লোদোয়ালদোর
থেকে বলটা পেয়েছিলেন পেলে, নিজেদের অর্ধেই, মাঝমাঠে। চোখ তুলে দেখেছিলেন, যা ভেবেছেন তা-ই। বক্সের মাথায় দাঁড়িয়ে ভিকতর। কালবিলম্ব করেননি। ৬৫ গজ দূর থেকেই তুলে দিলেন বল, বিপক্ষের গোলের ঠিকানায়! ভিকতরের তখন জামানত বাজেয়াপ্ত। কোনওরকমে পড়িমরি পেছনে-ছোটা। হাজার তিপ্পান্নর জালিসকো-গ্যালারির চোখের পাতা পড়ছে না। ভিকতর পৌঁছতে পারলেন না, বল পৌঁছল তাঁর আগেই। কিন্তু পেল না জালের আশ্রয়। আসলে পেতে পারত না। এ যে এক অনির্দেশ্য যাত্রা! নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনো মাত্রই তো যাত্রা শেষ হয়। তার তখন সত্যিই আর কোনও পর নেই। কিন্তু, পেলের সেই শট গোলে পৌঁছয়নি বলেও আজও সে ভ্রাম্যমান ফুটবলপ্রেমীর মনে। এখনও সেই বল চলেছে তার সেই কক্ষপথে। পেলে যেমন আত্মজীবনীতে লিখেছিলেন, ‘কতবার দেখলাম শটটা তারপর। কী মুশকিল, একবারও পথ পাল্টে গোলে গেল না, এখনও!’
![]() |
১৩ নম্বর ‘পেলে’, আগে কখনও দেখেছেন? ছবিটা সানতোস-এর জাদুঘরের দেওয়াল থেকে |
দ্বিতীয় ম্যাচে সামনে ইংল্যান্ড। কার্ডাসীয় সত্য যা-ই হোক, তথ্যের খাতিরে লিখতেই হবে, আগের বারের (১৯৬৬) বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। ব্রাজিলের কোচ মারিও জাগালো ম্যাচের আগেই বলে দিয়েছিলেন ফুটবলারদের, এই ম্যাচে সাম্বার প্রত্যাশা না-করতে। কারণ, গোল পেতে অপেক্ষা জরুরি, বিপক্ষে যখন ববি মুরের নেতৃত্বে রক্ষণ। জাগালো-কে ভুল প্রমাণিত করে ফেলতেই পারতেন পেলে। জাইরজিনিও মাটি ধরিয়ে দিয়েছিলেন টেরি কুপারকে। ক্রস এল পেনালটি বক্সে। বাবা দোনদিনিও-র ছোটবেলার ট্রেনিং, সেকেন্ডের বাড়তি ভগ্নাংশ বাতাসে ভেসে-থাকায় সিদ্ধকাম পেলে উঠলেন, দেখলেন, খোলা-চোখে জোরালো হেড, নিখুঁত কপালে-বলে সংযোগ, নিশ্চিত গোলে বল, কোত্থেকে উড়ে এল গর্ডন ব্যাঙ্কসের হাত, তুলে দিল বলটা, বারের ওপর দিয়ে। ‘এতটা অপছন্দ সেই মুহূর্তে আর কাউকে করিনি, গর্ডন। পরে, এতটা পছন্দও আর কাউকে করিনি। ওই বিশ্বকাপের তো বটেই, সব বিশ্বকাপেরই সেরা সেভ বোধহয়’, স্বীকারোক্তিতে অকপট পেলে। ব্যাঙ্কস পরে বলবেন, তিনি যখন বলের উদ্দেশে শরীর ছুড়ে দিচ্ছিলেন তখনই শুনতে পেয়েছিলেন পেলে বলে উঠেছিলেন ‘গোল’!
ব্রাজিলের পঞ্চম ম্যাচ সেমিফাইনাল, সামনে উরুগুয়ে। তখনও ব্রাজিলের সবচেয়ে ঘৃণিত শত্রু। পঞ্চাশের বিশ্বকাপের শেষ ম্যাচে সেই অপ্রাপ্তি। এক গোলে এগিয়েও ১-২ হার, যে কারণে ব্রাজিলের ফুটবল-মননে আমরণ কারাবাস গোলরক্ষক মোয়াসির বারবোসার। ‘মারাত্মক মারাকানা’-র সজল স্মৃতি ব্রাজিলীয়র সঙ্গী আজীবন। কুড়ি বছর পর সুযোগ এবার। গলায় আটকে-থাকা সেই কুড়ি বছরের অস্বস্তির সমূল উৎপাটন জরুরি।
আবারও ০-১ পিছিয়ে, আবারও পেলে। থ্রু এল তাঁর জন্য, তোস্তাও-এর। উরুগুয়ের গোলরক্ষক লাদিস্লাও মাজরুকিয়েউইচজ এগিয়ে এলেন বাধা দিতে। পেলের অবিস্মরণীয় ‘ডামি’। বলটা ধরব-ধরব করেও ধরলেন না! ছেড়ে, দিলেন সোজা দৌড়। লাদিস্লাও মাটিতে হাঁচড়পাঁচড়। কী হল বোঝার আগেই পেলে ঘুরে বলের দখল নিয়ে ফেলেছেন তখন, তেকাঠির ডানদিকে। কৌণিক সম্ভাবনায় অসম্ভব এমন জায়গায়। কিন্তু সামনে যে ফাঁকা গোল! পেলের ডান পায়ের শট কোনাকুনি। মাঠ এবং অসহায় তিনকাঠিকে ফাঁকা রেখে বল দূরের পোস্ট ছুঁই-ছুঁই বাইরে, দীর্ঘশ্বাস! পেলের প্রতিক্রিয়া
দেখুন ইউটিউবে। এক মুহূর্তের জন্য বিমূঢ়। নিজের ক্ষমতায় ক্ষণিকের অবিশ্বাস যেন। এমন ভাবনাও গোলে গেল না!
যেতে পারত না। গেলে এই ইতিহাস হত না বলেই। শেলির কথামতো, সবচেয়ে মিষ্টি স্মৃতিগুলোই
যে আসলে সব দুঃখের! কিন্তু, দুঃখই বা কীসের, কেন? অপূর্ণতার মধ্যেই যে পূর্ণতার আনন্দ, সীমার মাঝে অসীমের সুর। গোল মানে পরিণতি, শেষ। এই অপ্রাপ্তিই আসলে সম্পূর্ণ করে প্রাপ্তির ঘড়া। জীবন, এমনই ব্যথাদায়ক। একই সঙ্গে ব্যথাহর!
মারিও জাগালো কোচ হয়ে এসেছিলেন বিশ্বকাপের মাত্র মাস তিনেক আগে। তার আগে ছিলেন হোয়াও সালদানিয়া। ফুটবল-সাংবাদিক হিসাবে এমন কড়া সমালোচনা করছিলেন ব্রাজিলের জাতীয় দলের খেলার ধরনের, ব্রাজিলীয় ফুটবল সংস্থা তাঁকেই কোচের দায়িত্ব দিয়ে দেয়! আর তিনিও, মিলিটারি-শাসনের আমলে নিজেকে কমিউনিস্ট পরিচয় দিতে অহংবোধের গোঁয়ার্তুমিতে ডুবে, ইচ্ছেমতো চলতে গিয়ে ডেকে এনেছিলেন বিপর্যয়। পেলে নাকি অন্ধ! বেশি দূর দেখতেই পান না, সরাসরি জানিয়ে ছিলেন। বসিয়ে রাখতেন, বাদ দিতে চেয়েছিলেন, ১৩ নম্বর জার্সিও পরিয়েছিলেন পেলেকে, যে-ছবি জ্বলজ্বল করছে সানতোসের পেলে-জাদুঘরে, পাশে সালদানিয়ার কথা, দেখে এসেছিলাম ২০১৪ বিশ্বকাপের সময় সানতোস গিয়ে। সালদানিয়ার চাকরি যখন চলে যাবে নিশ্চিত, সাংবাদিক সম্মেলনে আরও একটি ভিত্তিহীন অভিযোগ এনেছিলেন পেলে সম্পর্কেই – এমন রোগ বাসা বেঁধেছে শরীরে যা প্রেসকে জানানো অনুচিত। রেগে অগ্নিশর্মা পেলে সেই সময় দলের দুই ডাক্তারের কাছে ধর্না দিয়ে রিপোর্ট বের করে নিজে দেখে সন্তুষ্ট হয়েছিলেন। কিন্তু, কেউ কেউ এখনও সালদানিয়ার সেই কথা ধরে পেলের বিরুদ্ধে সেই ‘অজানা’ রোগের কথা তুলে এনে খেলো করেন সেই নজিরবিহীন সাফল্যকে। সর্বোচ্চ আলোকোজ্জ্বল প্রতিযোগিতার পঞ্চান্ন বর্ষপূর্তিতে ওই সব থাক আড়ালে। ক্ষণিকের তরে যা সূর্যকে আড়াল করতে পারে, ওইটুকু ভেবেই সাফল্যের আড়মোড়া ভাঙুন তাঁরা। আর, আমরা সেই কাজলকালো মানিকের হাস্যোজ্জ্বল
ছবিতে খুঁজে নিই বেঁচে থাকার আনন্দ।
প্রাপ্তি সম্পূর্ণ হয় ফাইনালে। সামনে ইতালি। দক্ষিণ ইউরোপের বিরুদ্ধে দক্ষিণ আমেরিকা। যারা জিতবে, সোনার পরী জুলে রিমে কাপ চিরকালের জন্য ঘর করতে যাবে তাদের দেশে। ইতালি তখন এক আর্জেন্তিনীয় এলেনিও এরেরা-র (অ)কল্যাণে পেয়ে গিয়েছে পরশপাথর – কাতানেচ্চিও। ১৯৯৭, যুবভারতীতে, এক লক্ষ ৩১ হাজার দর্শকের সামনে মোহনবাগানের হীরেকে কাঁচে পরিণত করে প্রদীপ ব্যানার্জি বুঝিয়েছিলেন আমাদের, ‘ইতালীয় কাতানেচ্চিও জানো? গাড়িতে শক-অ্যাবজর্বার বলে একটা জিনিস থাকে যা গাড়িকে নিরাপদ রাখে যাবতীয় ঝড়ঝাপটা সামলে। কাতানেচ্চিও হল তা-ই। ডেকে আনতে হয়। ঝাপটা সামলাতে হয়। তারপর, রাস্তা ফাঁকা দেখলেই, ব্যস!’ বিপক্ষের আক্রমণ সামলাতে সামলাতে বিপক্ষ যখন সবচেয়ে বেশি বেসামাল, দুরন্ত গতির প্রতি আক্রমণে একটা গোল দিয়ে আবার সবাই পেছনে। পাঁচ ম্যাচে চার গোল খেয়ে, রক্ষণে-সেরা দল ফাইনালে আক্রমণে-সেরা দলের বিরুদ্ধে আজতেকায়, ২১ জুন ১৯৭০।
এক লক্ষ সাত হাজার দর্শকের সামনে পেলে ফিরে গিয়েছিলেন ১৯৫৮-র ফাইনালে। সেই লাফিয়ে-ওঠা, এবার রিভেলিনোর পাসে মাথা ছোঁয়াতে। আর শেষটা? মহাকাব্যিক পরিণতি। ব্রাজিলের অধিনায়ক কার্লোস আলবের্তো তোরেস-এর পায়ে, এখনও যার পরিচিতি বিস্ময়-গোল। মাঠের এগারর মধ্যে ন’জন ব্রাজিলীয়র পায়ের ছোঁয়া ছিল সেই গোলে। অনেক পাসের গোল এখন পেপ গারদিওলা প্রভাবিত ফুটবলে মাঝেমাঝেই দেখা যায়। বিশ্বকাপ ফাইনালে দলের ন’জনের পা ঘুরে গোল তবুও ব্যতিক্রম! ঠিক একইভাবে ইংল্যান্ডের
বিরুদ্ধেও জাইরজিনিও-র জন্য সাজিয়ে দিয়েছিলেন পেলে। তবে সেই ম্যাচে পাসটা ছিল বক্সের মধ্যে এবং জাইরজিনিও ছিলেন কাছেই। সত্তর বিশ্বকাপের এই শেষ গোলের সময় আক্রমণ শুরু হচ্ছে যখন কার্লোস কোথায়? মাঠের ডানদিকে তিনি তখন কিছু না-করায় ছদ্মব্যস্ত!
ইতালির বিরুদ্ধে এমন ট্যাকটিক্যাল গোলেও হয়ত বুঝিয়ে-দেওয়া, স্বতঃস্ফূর্ততার সঙ্গে কৌশলকেন্দ্রিক
হওয়ার কোনও বিরোধিতা নেই। কোচ জাগালো বলেই দিয়েছিলেন, ইতালি রক্ষণের বাঁদিকে ফাচেত্তি থাকেন এবং রিভেলিনো-তোস্তাওয়ের সঙ্গে জাইরজিনিও যদি নিজেদের বাঁদিকে
চলে যান, ইতালীয় রক্ষণ সম্পূর্ণ বামপন্থী হয়ে পথ হারাতে বাধ্য। ডানদিকে খুলে যাবে, পেলের ‘ইংরেজি’ আত্মজীবনীর শব্দে ‘অ্যাভিনিউ’। সেই রাস্তা ধরে উঠে আসতে হবে, প্রবল গতিবেগে, ডানদিকের ডানা মেলে অধিনায়ককে। কেল্লাফতে সম্ভব সেভাবেও। আর এই রাস্তাটা, সানতোসে চিরকাল একসঙ্গে খেলতে-খেলতে মুখস্ত পেলে-কার্লোসের।
২০১৪ বিশ্বকাপের আগে কলকাতায় বিশ্বকাপ নিয়ে এসে কার্লোস যা এই প্রতিবেদককেও
বোঝাচ্ছিলেন যখন, সারামুখে অপার্থিব হাসি। পেলেকে মুখ তুলে তাকাতে হয়নি। বলটা ডানদিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ফাঁকায়। নিমন্ত্রণপত্রে লেখা ছিল, ‘আয় ভাই, শটটা নে, গোলটা কর্’!
সেই বিস্ময়-গোলে বিস্ময়াবিষ্ট ফুটবল-বিশ্ব এখনও, এই পঞ্চাশ বছর পরও তাই, কবীর সুমনই গাইছে, ‘বিস্ময় আজও গেল না আমার’!
৫৫ কেন, আরও কত
৫৫পেরিয়েও, থেকে যাবে অদ্বিতীয়!
No comments:
Post a Comment